‘অসদাচরণ, পলায়ণ ও প্রতারণা’র মিথ্যা অভিযোগে দেখিয়ে এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামানকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক চাকুরি থেকে বরখাস্ত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর-এর বিবৃতি
আজ ‘অসদাচরণ, পলায়ণ ও প্রতারণা’র মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুগোল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্পাদক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামানকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকালও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। এই ঘটনাগুলো কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভিন্নমতের মানুষদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য এটি সরকারের একটি ধারাবাহিক কর্মসূচি। এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামানকে আজ চাকুরিচ্যুত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে কবরস্থ করা হয়েছে। মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার নিষ্ঠুর একদলীয় রাজত্ব কায়েম করেছে। সরকারী অনাচার-অবিচার ও লুন্ঠনের বিরুদ্ধে কেউ যাতে টু শব্দ করতে না পারে তার জন্য অব্যাহতভাবে চলছে স্বেচ্ছাচারী দুঃশাসন। দেশের বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য শিক্ষকদের ভিন্নমত প্রকাশের জন্য তাঁদেরকে চাকুরিচ্যুত করার হিড়িক শুরু হয়েছে। বিশ^বিদ্যালয়ের স্বায়ত্ত্বশাসনের ঐতিহ্যকে লংঘন করে আওয়ামী চেতনা প্রতিষ্ঠিত করতেই উঠেপড়ে লেগেছে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ভিন্নমতের কৃতি শিক্ষকদের চাকুরিচ্যুত করে অনাহারে-অর্ধাহারে রেখে তাদেরকে নিঃশেষ করাটাই হচ্ছে সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এটি কোনক্রমেই কাম্য হতে পারে না। জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামানকে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করেছে। ইতোপূর্বে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে যে গ্রাউন্ডে মামলা করেছে সেটি নিষ্পত্তি না হতেই তাঁকে বরখাস্ত করা সম্পূর্ণরুপে আইন বহির্ভূত সিদ্ধান্ত। এটি সরকারের প্ররোচনায় বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান এর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ। বর্তমান সরকার ও তাদের অনুগত বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন একই চেতনায় বিশ্বাসী বলেই ভিন্নমতের শিক্ষকদের অস্তিত্ব সহ্য করতে পারছে না। তাই আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া নীতি অবলম্বনের মাধ্যমে ভিন্নমতের শিক্ষকদেরকে পর্যায়ক্রমে বিশ^বিদ্যালয় থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। তবে সরকারের আজ্ঞাবাহীদের বলতে চাই-সংযত হউন, দেশের মানুষকে আর নির্মম কষাঘাতে জর্জরিত করবেন না, নইলে জনবিস্ফোরণের উত্তাল ঢেউয়ে কেউই রেহাই পাবেন না।
বিশ^বিদ্যায় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামানকে চাকুরি থেকে বরখাস্তের মতো অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে আমি তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তাঁকে অবিলম্বে চাকুরিতে পুণর্বহাল করার জোর দাবি জানাচ্ছি।”
বার্তা প্রেরক,
মো: তাইফুল ইসলাম টিপু
সহ-দফতর সম্পাদক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
আরো পড়ুন