ঘেরাও করতে হবে যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস. চাইতে হবে কৈফিয়ত |

বাংলাদেশ সরকার বিমানের ফ্লাইট নিয়ে সিলেট টু লন্ডন প্যাসেঞ্জারদের সাথে যে বৈষম্যমূলক আচরণ করতেছে তাতে মনে হচ্ছে সিলেট আলাদা কোনো একটি দেশ. তাদের জন্য আলাদা নিয়ম কানুন থাকবে.

বিমানের লন্ডন টু বাংলাদেশ ফ্লাইটের 90% প্যাসেঞ্জের থাকেন সিলেটের. ভাঙ্গাচুরা ছোটছোট সিট আর টাইম টেবিলে ব্যাপক অনিয়মের পরেও সিলেটের মানুষ বিমান চড়েন শুদু মাত্র সরাসরি সিলেট যেতে পারেন সে জন্য.
বিশেষ করে স্বপরিবারে দেশে যারা যান তারা বাংলাদেশ বিমানে চড়া দামে টিক কেটে যান. যাতে সরাসরি সিলেট গিয়ে ল্যান্ড করতে পারেন.
অন্য ডিস্ট্রিকের প্যাসেঞ্জার যেহেতু ঢাকায় যান সেহেতু তারা অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে টিকেট কেটে ভালো ভালো airlines ব্যবহার করতে পারেন|

এখন বিমানের নতুন নিয়ম অনুযায়ী লন্ডন টু সিলেট যাত্রীরা ঢাকায় নামবেন. লাগেজ চেকইন এন্ড চেক আউট করবেন নতুন করে বোর্ডিং পাস্ নিবেন তারপর আবার আরেকটি বিমানে করে সিলেট যাবেন !! সিরিয়াসলি ??
যদি এত্ হাসল করতেই হয় তাইলে ভাঙা চূড়া বিমানে চড়া দামে টিকেট কেটে লন্ডন টু সিলেট (ভায়া ঢাকা) যাওয়ার দরকার আছে ? অফকোর্স না !

এর চেয়ে এমিরেটস -কাতার এয়ারলাইন্স তো ভালো. যাত্রীসেবার মান যেমন ভালো তেমনি টিকেট বেশ সুলভ.
সিলেটের যাত্রী যারা তাদের এখন আন্দোলন করতে হবে আমিরাত এয়ারলাইন্স বা কাতার এয়ারলাইন কে সরাসরি সিলেট যাওয়ার অনুমতি যেন সরকার দেয়.
দীর্ঘদিন থেকে এই দুটি এয়ারলাইন্স লন্ডন টু সিলেট ফ্লাইট চালু করার অনুমতি চেয়ে ও পায়নি বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে. আমি মনে করি এখনই সময় আমাদের প্রতিবাদ করার.
বিমান মন্ত্রণালয়ের এই হটকারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার.

এজে লিমন
যুক্তরাজ্য প্রবাসী

আরো পড়ুন