জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্বোগে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত।

নিজস্ব প্রতিনিধি:: বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের জাতীর জনক মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্টপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মদিন উপলক্ষে যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্দোগে সভা ও দোয়া মাহফিল অনুস্টিত হয়েছে ভারচুয়াল ভাবে।

 

যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ শাহীন এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল হোসেনের পরিচালনায় কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জামিল আহমেদ।প্রধান অতিথী বিএনপির স্তায়ী কমিটির সম্মানিত সদস্য জনাব নজরুল ইসলাম খাঁন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কর্মময় জীবন নিয়ে গুরত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।আরো অতিথী হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক মুহিদুর রহমান ,বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের বিপ্লবী সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল , যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারন সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ, সিনিয়র  যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পারভেজ মল্লিক, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কামাল উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক খছরুজ্জামান খছরু,আছাদুজ্জামান আহমেদ যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের শরিফুল ইসলাম মুস্তাফিজুর রহমান ফেরদাউস আজিম উদ্দিন আলীম আল রাজী,শেখ মো: সাদেক আহমেদ।প্রধান অতিথি নজরুল  ইসলাম খাঁন বলেন জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের তত্ত্ব প্রদান করে তা জনপ্রিয় করে তোলেন। বাংলাদেশে বহু সংখ্যক বিভিন্ন ধরনের মতের ও ধর্মের নানা জাতিগোষ্ঠী বাস করে। তাদের সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার মাত্রা ও ধরন একে অপরের থেকে ভিন্ন। তাই শহীদ জিয়া মনে করেন যে, ভাষা বা সংস্কৃতির ভিত্তিতে নয়, ভূখণ্ডের ভিত্তিতেই জাতীয়তাবাদকে গ্রহণ করা উচিত। তিনি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ-সংস্কৃতি নির্বিশেষে সকল নাগরিকের ঐক্য ও সংহতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং এই ধারণা জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার শক্তি হিসেবে বাংলাদেশে শক্তিশালী ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠা পায়।শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউররহমান বাংলাদেশে বহুদলীয় গনতন্ত্র প্রতিস্টা করেন।উনি বাংলাদেশের সরকারের দায়িত্ব নওয়ার পর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তিনি বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগের আমলে নিষিদ্ধঘোষিত রাজনৈতিক দলগুলিকে তাদের কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এইভাবে, তিনি সংবাদপত্রের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন, সংবাদপত্রের মাধ্যমে তথ্যের অবাধ প্রবাহ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদান করেন। ১৯৭৮ সালের নির্বাচনে ছয়টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই নির্বাচনে তিনি ৭৬.৬৭% ভোট পেয়ে বিজয়ী হন এবং রাষ্ট্রপতির পদে নিয়োজিত হন।

 

অনুস্টানে আরো উপস্তিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ সভাপতি জনাব গোলাম রব্বানি সোহেল,লন্ডন মহানগর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি রহীম উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক আফজল হোসেন,মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ চৌধুরী যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হাসনাত রিপন,টিপু আহমেদ,কামাল মিয়া ,  যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বার্মিংহাম ওয়েষ্ট মিডল্যান্ড বিএনপির যুগ্ম-সাধারন আওলাদ হোসেন,, সিলেট থেকে মাহবুবুল হক চৌধুরী,আফছর খাঁন, আব্দুর রউফ,এবং যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন জোনের নেতৃবৃন্দ।আলোচনা সভা শেষে দোয়া অনুস্টিত হয় দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা শামীম।এছাড়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউররহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অসহায় মানুষদের মধ্যে বাংলাদেশে শীতবস্ত্র বিতরনের উদ্দোগ নিয়েছে যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দল।

আরো পড়ুন