দুই আন্দোলনের কারণে আমাকে জার্মান দূতাবাসে আমন্ত্রণ : নুর

দুই আন্দোলনের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরকে ঢাকায় জার্মান দূতাবাসে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে নুর নিজেই জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের পক্ষে ও সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে আমাকে জার্মান দূতাবাসে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

বুধবার ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফাহরেনহল্টজের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয় নিয়ে ডাকসু ভিপি জাগো নিউজকে এ কথা বলেন।

jagonews24

ভিপি নুর বলেন, ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশের দুটি আন্দোলনে (কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলন) নেতৃত্ব দেয়ার কারণে আমাকে জার্মান দূতাবাসে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায় এবং বাংলাদেশকে কীভাবে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যায় সে বিষয়ে তারুণ্যের ভাবনা ও ভূমিকা নিয়ে কথা বলা হয়েছে। এর আগেও আমেরিকান দূতাবাস ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতাবাসের সাথে আমার কথা হয়েছে, তারাও এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন।

ডাকসু ভিপি আরও বলেন, আমাকে বিভিন্ন দূতাবাসে ডাকার কারণে ক্ষমতাসীনদের গায়ে জ্বালা শুরু করছে। তারা আমাকে নিয়ে বিভিন্ন অপবাদ ও মিথ্যাচার করছে। এদেশের জনগণ আমাকে পছন্দ করে এবং তরুণদের নিয়ে আমি বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করার কারণে তারা আমার সাথে কথা বলেছে। তারা এদেশে কীভাবে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় সে বিষয়ে কথা বলেছে।

jagonews24

এদিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রসংগঠনের সংঘর্ষ-সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস বির্নিমাণে শিক্ষার্থীদের কাজ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন। নুর ডাকসুর ভিপি হয়েও ছাত্রলীগের দ্বারা ৯ বার হামলার শিকার হওয়ায়ও দুঃখ প্রকাশ করেন।

সমাজ-রাষ্ট্রের ইতিবাচক পরিবর্তনে এদেশের শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে হাঁতুড়ি-হেলমেট বাহিনীর বর্বর আক্রমণের নিন্দা জানিয়ে সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এছাড়া একটা বৈষম্যহীন, সহিষ্ণু পৃথিবী গঠনে তরুণদের কাজ করার আহ্বান জানান। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে জার্মানি সহযোগিতা করবে বলেও আশ্বাস দেন। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষায় ডাকসুকে সহিংসতা রোধ ও মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

বিএ

আরো পড়ুন