ধর্ষকদের ৫০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিন

ধর্ষণ মামলার আসামির ফাঁসি হওয়ার সাজাকে ‘ধাপ্পাবাজি’ বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ধর্ষণের মতো এত বড় একটা অন্যায় কাজ যারা করে, তাদের জন্য এই দুই মিনিটের শাস্তি ‘ফাঁসি’ অত্যন্ত লঘু সাজা। তাদের কমপক্ষে ৫০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড হওয়া উচিত। সেটা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের মতো কারাদন্ড যেন না হয়। যিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ১১ মাস ভিআইপি কেবিনে কাটান। এ ধরনের ছলনা আর যেন না হয়। অতএব আপনারা ধর্ষকের জন্য ‘ফাঁসি’র আন্দোলন না করে ৫০ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের দাবি জানান। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। নারীর ওপর পৈশাচিক নির্যাতন বন্ধ করা, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা এবং বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের স্মরণে ‘আট স্তম্ভ‘ ভেঙে ফেলার প্রতিবাদে এ মানববন্ধন ও পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আক্তার হোসেনের পরিচালনায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল, জুনায়েদ সাকী, প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, গণদলের চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা ফরিদউদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন এবং পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকার যদি মনে করে যে এ আন্দোলন থেমে যাবে, এটা ভুল। প্রধানমন্ত্রী আপনি রাস্তায় নেমে নিজের চোখে দেখেন। তবেই জাতি বুঝবে, আপনি জাতীয় এই সমস্যার সমাধান করতে চান।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রতিটি বাসে, রেলপথে পুলিশ দেন। রাস্তাঘাটে পুলিশ দেন। প্রতিটি গার্লস স্কুলে মেয়েদের ক্যারাতে শেখান। ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে  খেলাধুলার পাশাপাশি শিক্ষার পরিবর্তন আনেন।

আরো পড়ুন