নিষ্টুরতার শেষ কোথায় ?

ছোটখাটো গড়নের এই আলেমে দ্বীনের পুরোটা শরীরই আমার কাছে মনে হতো কলিজা। একজন কোরআনে হাফিজ ও আলেমের বক্তব্য সহ্য করতে না পেরে তার মতকে দমনের জন্য সর্বত্র বৈধতার দাবি তোলা নিশিরাতের অবৈধ সরকারের আজ্ঞাবহ প্রশাসন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভুয়া মামলায়, গ্রেফতার করে নির্যাতন, রিমান্ড প্রদান ও চরিত্র হননের অপচেষ্টা প্রমাণ করে দেশে আপনি/ আমি কেউই নিরাপদ নয়। গ্রেফতারের পর তোলা ছবিতে মাওলানা রফিকুল ইসলামের এই চেহারা দেখে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচেছ। আলেম – উলামাদের নির্যাতন ও অপদস্থ করা হলে, চরিত্র হননের অপচেষ্টা করা হলে নিজে তা সহ্য করতে পারিনা। মনে হয় নির্যাতন ও অপমানটা আমাকেই করা হচেছ। দৃশ্যগুলো দেখে নিজের অজান্তেই চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে। কারন প্রথমত আমি একজন মুমিন মুসলমান, দ্বিতীয়ত আমি বৃহত্তর সিলেটের শীর্ষ আলেমে দ্বীন মরহুম মাওলানা বশির উদ্দিন গৌড়করনীর নাতি। আমার পিতা মাওলানা আবুল লেইছ খান, মাতা সালেহা খানম, স্ত্রী ফারহানা জামাল পপি সহ পরিবার পরিজন ও আত্বীয় স্বজন হক্ষানী আলেমদের উত্তরসুরী।
সময় হয়েছে এই জুলুমের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার। মনে রাখবেন আমাদের একমাত্র পরিচয় আমরা মুসলমান। সময় এখন বিভাজনের নয়। আমরা কে কওমি, কে আলীয়া, কে আল ইসলাহ, কে জামাত, কে সুন্নি, কে ওহাবী, কে আহলে হাদীস, কে শর্ষিনা, কে ফুরফরা, কে চরমোনাই তা নিয়ে বিভাজন নয় চাই মুসলিম মুসলিম ভাই ভাই ঐক্য। বাতিল অপশক্তি, মুরতাদ ও তাদের পেতাত্বাদের বিরুদ্ধে চাই সামগ্রিক সংগ্রাম। একটু ভেবে দেখুন কাউকে কি ছাড় দিয়েছে এই অপশক্তি। । উপমহাদেশর শীর্ষ আলেমে দ্বীন মরহুম শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হ্ক ও মুফতি আমিনীকে মিথ্যা মামলায় দিনের পর দিন জেল খাটিয়েছে এরা। প্রখ্যাত মুফাসিসরে কোরআন মাওলানা দেলওয়ার হোসেন সাঈদী এখনো জেলে বন্দি। হেফাজতের আমীর জুনায়েদ বাবুনগরীকে গ্রেফতার ও রিমান্ডের নামে নির্যাতন করেছে তারা। এখন মাওলানা মামুনুল হক ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম সহ আলেম উলামাদের চরিত্র হননে মেতে উঠেছে তারা। এরাইতো মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছিলো। এরাইতো শাপলা চত্তরে আলেম উলামাদের নির্বিচারে হত্যা করেছে। এরাইতো জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম , হাটহাজারী মাদরাসা ও ব্রাম্মনবাড়িয়া মাদরাসা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।
এরাইতো তারা যারা নিরপরাধ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ভুয়া মামলায় ফরমায়েশি সাজা দিয়ে গৃহবন্দি করে রেখেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশে আসার পথ রুদ্ধ করে রেখেছে।
এরাইতো তারা যারা আপনার আমার ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, নাগরিক ও মৌলিক অধিকার হরন করেছে। এরা নিরপরাধ মানুষকে গুম, খুন ও হত্যা করে উল্লাস করছে। জাতীয় নেতৃবৃন্দকে প্রতিহিংসার কারনে বন্দি রেখে লজ্জা না পেলেও শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দিয়ে নগ্ন উল্লাস করছে তারা বেহায়ার মতো।
তাই আসুন দল, মতপথ ও বিভাজন ভুলে ঐক্যবদ্ধ হই, জালিমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি।

Copied by- Abdul Ahad Khan Jamal(sylhet) fb wall

আরো পড়ুন