বৃটেনের শেখ হাসিনাসহ ১৫ রাজনীতিক ও RAB কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার আবেদন

বৃটেনের নতুন আইনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫ রাজনীতিক ও RAB কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া বাকী ১৫ জনের মধ্যে ৬ জন রাজনীতিক এবং ৯ RAB কর্মকর্তার নাম রয়েছে। বৃটেনে তাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছে প্রখ্যাত ল’ফার্ম গার্ণিকা থার্টি সেভেন। বৃটেনের নতুন আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির অভিযোগে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণসহ বৃটেনের ফরেন ও কমনওয়েলথ দফতরে সম্প্রপ্রতি এই আবেদন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, বৃটেনের নতুন আইনে বলা হয়েছে যে, কোনো দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ও মানি লণ্ডারিংকারীসহ গুরুত্বর অপরাধীরা এসাইলাম পাবে না।
আবেদনে তথ্যপ্রমানসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তারা হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেনারেল তারেক সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক অইনমন্ত্রী ব্যারিষ্টার শফিক আহমদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল ইসলাম টুকু। এছাড়া রয়েছেন RAB সাবেক প্রধান বেনজির আহমেদ, মোখলেসুর রহমান, কর্ণেল আনোয়ার লতিফ, কর্ণেল জাহাঙ্গির আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল হাসান, সেনা কর্মকর্তা তোফায়েল মোস্তফা ও সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমদ।
২০২০ সালে মানি লণ্ডারিং আইনে নতুন একটি ধারা সংযোজিত করে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। এতে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন দেশে যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দুর্নীতির সাথে সংশ্লিষ্ট থাকবে তাদেরকে বৃটেনে প্রবেশ করতে ভিসা দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কাউকে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় (এসাইলাম) দেওয়া হবে না। এই নতুন আইনের আওতায় বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন রাজনীতিক ও র‌্যাবের বর্তমান এবং সাবেক মিলে ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করা হয়েছে। যাদের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এই আবেদন করা হয়েছে প্রত্যোকের বিরুদ্ধেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগসহ দুর্নীতিরও যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে বলে আবেদনকারীদের সূত্রে জানা গেছে।
গার্ণিকা থার্টি সেভেন হচ্ছে যুক্তরাজ্যের প্রখ্যাত একটি ল’ফার্ম — যা সেন্ট্রাল লণ্ডনে অবস্থিত। তারা হিউম্যান রাইটস ও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল নর্মস নিয়ে কাজ করে থাকে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করার জন্য ইউরোপ, বৃটেন ও আমেরিকার অভিজ্ঞ আইনজীবীদের সমন্বয়ে তাদের একটি শক্তশালী টিম রয়েছে। এই ল’ ফার্মের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণসহই আবেদন করা হয়েছে এবং আবেদনের পর ইতোমধ্যেই তারা ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে পজেটিভ রেসপন্স পাচ্ছে।
(collected- surma news)
আরো পড়ুন