ভারতে পালানোর চেষ্টায় ছিলেন এসআই আকবর

রায়হান আহমদ হত্যার সঙ্গে জড়িত বহুল আলোচিত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত ধরা পড়লেন হত্যা মামলার এই প্রধান আসামি।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কানাইঘাটের ডনা সীমান্ত থেকে জেলা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পালিয়ে থাকার ২৮ দিনের মাথায় গ্রেফতার হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান ।

সিলেট পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার খালেকুজ্জামান জানান, পিবিআইয়ের একটি দল কানাইঘাট এলাকায় যাচ্ছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, ১০ অক্টোবর বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয় রায়হানকে। এরপর ১১ অক্টোবর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রায়হানের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু আইনে নগরীর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।

এরপর ১২ অক্টোবর এসআই আকবর হোসেনসহ চারজনকে বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। বরখাস্ত হওয়ার পর থেকে আকবরকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি পলাতক ছিলেন।

বরখাস্তদের মধ্যে অন্যরা হলেন- কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ ও টিটু দাস। আর প্রত্যাহার হওয়া তিনজন হলেন- এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেন।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নিহত রায়হানের মরদেহে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এসব আঘাতের ৯৭টি ফোলা আঘাত ও ১৪টি ছিল গুরুতর জখমের চিহ্ন। এসব আঘাতগুলো লাঠি দ্বারাই করা হয়েছে। অসংখ্য আঘাতের কারণে হাইপোভলিউমিক শক ও নিউরোজেনিক শকে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কর্মক্ষমতা হারানোর কারণে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।

ইত্তেফাক/জেডএইচ

আরো পড়ুন