স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমানের নাম উল্লেখ করায় মুক্তির ১৭ বছর পর আইনি নোটিশ

মুক্তি পাওয়ার ১৭ বছর পর মান্না ও মৌসুমী অভিনীত একটি ছবির পরিচালক-রচয়িতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টুকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেন এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। ২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া ওই ছবিটির নাম ‘বীর সৈনিক’।

ওই ছবিতে ইচ্ছাকৃত ইতিহাস বিকৃতি করার অভিযোগ তুলেছেন মাকসুদুল হক ইমু। ৩ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার তার পক্ষে আইনি চিঠিটি পাঠিয়েছেন আইনজীবী মোস্তফা কামাল মুরাদ।

ঝন্টুসহ ওই ছবির ইউটিউব স্বত্বাধিকারী সিস মিডিয়ার এম এন ইস্পাহানী (ইস্পাহানী আরিফ জাহান) ও ইউটিউব স্বত্বাধিকারী মো. জাহাঙ্গীরকে (লাভা মুভিজ) এই নোটিশ পাঠানো হয়।

ওই নোটিশে বলা হয়, ছবিটি ২০০৩ সালে মুক্তি পায়। গত বছর মুজিব জন্মশতবর্ষতে এটি লাভা মুভিজ ও সিস মিডিয়া নামের ইউটিউব চ্যানেলে অবমুক্ত করা হয়। কিন্তু ছবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ও ৭ মার্চের ভাষণের বিষয়টি কেটে দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমানের নাম ও ২৬ মার্চে তার ঘোষণার কথা উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে মাকসুদুল হক ইমু জানান, ছবিটি আগে মুক্তি পেলেও মুজিব জন্মশতবর্ষে এমন বিকৃত কন্টেন্ট ইউটিউবে প্রকাশ করাটা অন্যায় বলে মনে করেন তিনি। এর আগে ছবি সংশ্লিষ্টদের কাছে অভিযোগ করলে এর প্রতিকার পাননি বলেও জানান।

তিনি আরো বলেন, ‘ছবিটির পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। তার সামনে বিষয়টি উত্থাপন করলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। এমনকি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার ছবিতে এ অংশটি রাখাও লজ্জাজনক হিসেবে মনে করেন তিনি। তবে ছবিটি এখন প্রযোজক-পরিবেশকের কাছে বলে তিনি পদক্ষেপ নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। এজন্য আমি ইস্পাহানী সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করে আলোচনা করেছি। কিন্তু তিনি কোনো সমাধানে আসেননি। তাই এই আইনি পদক্ষেপ।’

মাকসুদুল হক আরো বলেন, ‘২০০৯ সালের ২১ জুন হাইকোর্ট রায় দেন- ‘জিয়া নন, বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার ঘোষক’। সেই সঙ্গে আদালত জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক উপস্থাপন করে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্র’র তৃতীয় খণ্ড বাতিল ঘোষণা করেছেন। জানানো হয়, যারা এরকম ইতিহাস বিকৃতির সঙ্গে জড়িত তারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। অথচ ‘বীর সৈনিক’ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের নজরে বিষয়টি আনার পরও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

তিনি জানান, ছবিটিতে একজন অভিনেতা ৭ মার্চের প্রসঙ্গ আনার পর হুট করে সে দৃশ্যটি ফেলে দেয়া হয়েছে। তাই এই দৃশ্য যোগ ও জিয়াউর রহমানকে উপস্থাপন করে বলা বিকৃত অংশের কর্তন চান তিনি।

আরো পড়ুন